বৃহস্পতিবার, ৩০ Jun ২০২২, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত খাদ্য সংকট লাঘবের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। তবে খাদ্যশস্য ও পণ্যের চালান পরিবহনের প্রতিবন্ধকতা দূর করার মতো যেকোনও চুক্তি এখনও অধরা বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত শস্য, ভোজ্যতেল, জ্বালানি এবং সারের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈশ্বিক খাদ্য সংকট তৈরি করেছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় এক তৃতীয়াংশ গম সরবরাহ করে। অন্যদিকে রাশিয়া বিশ্বের প্রধান সার রপ্তানিকারক এবং ভুট্টা ও সূর্যমুখী তেলের প্রধান সরবরাহকারী ইউক্রেন।
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনকে সঙ্গে নিয়ে স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস বলেন, আমি মনে করি, বৈশ্বিক খাদ্য সংকটের অগ্রগতি হচ্ছে। কিন্তু আমরা এখনও সেখানে পৌঁছাতে পারিনি। এসব জটিল বিষয় এবং এটি সত্য যে, পরস্পরের সাথে যুক্ত সবকিছুই আলোচনাকে বিশেষভাবে জটিল করে তুলছে।
কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনীয় সব বন্দর রাশিয়া নিয়ন্ত্রণ অথবা কার্যকরভাবে অবরোধ করে রাখায় ইউক্রেন থেকে শস্যের চালান বন্ধ হয়ে গেছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পরপরই শস্যের চালান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করে। শস্য ও সার রপ্তানি বিঘ্নিত হওয়ার জন্য পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে দায়ী করেছে মস্কো।
চলতি বছরের শুরুর দিকে মস্কো এবং কিয়েভ সফর করেন অ্যান্তনিও গুতেরেস। যুদ্ধের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউক্রেনের খাদ্য এবং রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানি পুনরায় শুরু করতে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছেন তিনি। বৈশ্বিক এই সংকট লাঘবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পরামর্শে মধ্যস্থতায় এগিয়ে এসেছেন তিনি।
গুতেরেস বলেছেন, আমি নিরাপত্তা পরিষদে বলেছি, আমি আশাবাদী। তবে এখনও দেরী আছে। আমরা সমাধানের উপায় বের করার বিষয়ে একেবারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেই কেবল কৃষ্ণ সাগরের মাধ্যমে ইউক্রেনের গম রপ্তানির ব্যবস্থা করতে আগ্রহী রাশিয়া। পাশাপাশি রাশিয়ার সারের চালানও বন্দর থেকে ছাড়ার ব্যবস্থা করা হবে।
সূত্র: রয়টার্স।