শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০১:৪৭ অপরাহ্ন
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ৬০ কোটি টাকায় মনোনয়ন ক্রয় করেছেন। টকশোতে মনোনয়ন ‘বাণিজ্য’ নিয়ে এমন বক্তব্য দেয়ায় জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) সভাপতি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, বিএনপি নেতা মনিরুল হক চৌধুরীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। মামলায় তৃতীয় আসামি টেবিল টক ইউকের সঞ্চালক হাসিনা আক্তার।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। ১২ জুলাই মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৩ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ডের সভার সিদ্ধান্তে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আরফানুল হক রিফাতের দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিএনপি-জামায়াতের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় লন্ডন থেকে পরিচালিত ইউটিউব চ্যানেল টেবিল টক ইউকের মাধ্যমে গত ১৯ এপ্রিল একটি টক-শো প্রচারিত হয়।
টকশোতে মামলার বাদী এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত বিষোদগার এবং মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার শুরু করে। এরমধ্যে জানিপপ সভাপতি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ওই টকশোতে উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের নমিনেশন এনসিউর করতে ১৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। পরে শুনলাম যে এটা বেড়ে ২০ কোটি টাকায় গেছে। পরে যে হইচইটা হলো এই টাকার পরিমাণটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে নাকি ৬০ কোটি টাকায়’। তারা টকশোতে মানহানিকর বক্তব্য দেন। এছাড়া টকশোতে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে তিনি বাদীর সম্মানহানি করেছেন।
এছাড়াও হাসিনা আক্তার ওই টকশো-তে ‘৬০ কোটি টাকা দিয়ে নমিনেশন ক্রয় করেছে গডফাদার রিফাত’ শিরোনামে সংবাদ সামাজিক গণমাধ্যমে প্রচার করে বাদী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সম্মানিত অন্যান্য সদস্যদের সম্মানহানি করেছেন। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সামাজিক গণমাধ্যম ব্যবহার করে ওই টকশো অনুষ্ঠানে মানহানিকর বক্তব্য প্রচার করে আসন্ন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।