বৃহস্পতিবার, ০৮ Jun ২০২৩, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
‘বর্তমান সময়ে ছাত্র-উস্তাদদের মনোযোগ বিধ্বংসী হাতিয়ার হচ্ছে মোবাইল’ জনগণ এখন সচেতন, ভোটাধিকার কেড়ে নিলে ছেড়ে দেয়না: প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহ : এবার দাখিল পর্যায়ের সব মাদরাসাও বন্ধ ঘোষণা দেশ ছেড়ে পালানোর অভ্যাস বিএনপির, আওয়ামী লীগের নেই : পানিসম্পদ উপমন্ত্রী হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হলেন মুফতী খলিল কাসেমী তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন এরদোগান আ.লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না: প্রধানমন্ত্রী আল্লামা ইয়াহইয়া (রহ.)-এর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে জুনে আবারও হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন জো বাইডেন

মহররম মাসের আমল ও ফজিলত

যুবকণ্ঠ ডেস্ক:

এল হিজরি নববর্ষ ১৪৪৪ সন। ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধান হিজরি সন আরবি তারিখ ও চান্দ্রমাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। ধর্মীয় আচার–অনুষ্ঠান, আনন্দ-উৎসবসহ সব ক্ষেত্রেই মুসলিম উম্মাহ হিজরি সনের ওপর নির্ভরশীল। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও মুসলিম জীবনে হিজরি সনের গুরুত্ব অপরিসীম।

মহররম হিজরি বর্ষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাস। পবিত্র কোরআনুল কারিম ও হাদিস শরিফে এ মাসকে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ বলা হয়েছে। কোরআনের ভাষায় এটি সম্মানিত চার মাসের (‘আরবাআতুন হুরুম’) অন্যতম। এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজা ও তওবা ইস্তিগফারের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।

রমজানের পর মহররম মাসের রোজা সবচেয়ে উত্তম বলে বর্ণনা করেছেন নবীজি ( সা.)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসূল ( সা.) বলেছেন, ‘রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হচ্ছে- আল্লাহর মাস ‘মুহররম’-এর রোজা। আর ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হচ্ছে- রাত্রিকালীন নামাজ।-(সহিহ মুসলিম, ১১৬৩)

রাসূলুল্লাহ ( সা.) মহররম মাসকে ‘শাহরুল্লাহ’ বা আল্লাহর মাস বলছেন। জানা কথা, সব মাসই আল্লাহর মাস। এরপরও এক মাসকে আল্লাহর মাস বলার রহস্য হলো, এই মাসের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। তাই একে আল্লাহর মাস বলা হয়েছে। যেমন দুনিয়ার সব ঘরই আল্লাহর ঘর। তবে সব ঘরকে বাইতুল্লাহ বলা হয় না।

‘আল্লাহর মাস’ বলে মহররম মাসকে আল্লাহর সঙ্গে সম্বন্ধিত এর মর্যাদা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া এই হাদিসের মাধ্যমে নবীজি ( সা.) মহররম মাসে অধিক রোজা রাখার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

মহররম মাসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ফজিলত হলো, এই মাসের সঙ্গে তওবা কবুলের ইতিহাস সম্পৃক্ত।

মহররমের রোজার মধ্যে আশুরার রোজার ফজিলত আরো বেশি। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুল ( সা.)- কে রমজান ও আশুরায় যেরূপ গুরুত্বের সঙ্গে রোজা রাখতে দেখেছি অন্য সময় তা দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি : ১/২১৮)

মহররম মাসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ফজিলত হলো, এই মাসের সঙ্গে তওবা কবুলের ইতিহাস সম্পৃক্ত।  একটি হাদীসে আছে-

আলী (রা.)-কে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিলেন, রমজানের পর আর কোনো মাস আছে, যাতে আপনি আমাকে রোজা রাখার আদেশ করেন? তিনি বললেন, এই প্রশ্ন রাসুলুল্লাহ ( সা.) – এর নিকট জনৈক সাহাবি করেছিলেন, তখন আমি তার খেদমতে উপস্থিত ছিলাম। উত্তরে রাসুল (সা.) বললেন, ‘রমজানের পর যদি তুমি রোজা রাখতে চাও, তবে মুহররম মাসে রাখ। কারণ, এটি আল্লাহর মাস। এ মাসে এমন একটি দিন আছে, যে দিনে আল্লাহ তাআলা একটি জাতির তওবা কবুল করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অন্যান্য জাতির তওবা কবুল করবেন।’ (জামে তিরমিজি, হাদিস: ১/১৫৭)

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

All rights reserved © Jubokantho24.com