বৃহস্পতিবার, ০৮ Jun ২০২৩, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
‘বর্তমান সময়ে ছাত্র-উস্তাদদের মনোযোগ বিধ্বংসী হাতিয়ার হচ্ছে মোবাইল’ জনগণ এখন সচেতন, ভোটাধিকার কেড়ে নিলে ছেড়ে দেয়না: প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহ : এবার দাখিল পর্যায়ের সব মাদরাসাও বন্ধ ঘোষণা দেশ ছেড়ে পালানোর অভ্যাস বিএনপির, আওয়ামী লীগের নেই : পানিসম্পদ উপমন্ত্রী হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হলেন মুফতী খলিল কাসেমী তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন এরদোগান আ.লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না: প্রধানমন্ত্রী আল্লামা ইয়াহইয়া (রহ.)-এর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে জুনে আবারও হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন জো বাইডেন

ছাত্রলীগের ঠিকানা এই বুয়েটে হবে না, শ্লোগানে উত্তাল বুয়েট

যুবকণ্ঠ ডেস্ক:

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শনিবার ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক ব্যানারে একটি কর্মসূচির আয়োজন করে। এ নিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারীরা।

রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন।রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে জড়ো হয়েছেন শত শত শিক্ষার্থী। এ সময় তাদের মুখে স্লোগান ছিলো-ছাত্রলীগের ঠিকানা এই বুয়েটে হবে না।

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের পরও এই কর্মসূচি আয়োজনে অনুমতি কীভাবে পেল- তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন বিক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার বিকাল ৫টায় বুয়েট ক্যাফেটেরিয়াতে ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সাবেক নেতারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহিদদের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে।

শিক্ষার্থীরা জানান, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর গত দুই বছরে শোক দিবসে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছিল বুয়েট কর্তৃপক্ষ। সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন এবং অংশগ্রহণও ছিল। কিন্তু এবার ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ব্যানারে অনুষ্ঠান হওয়ায় তা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারছে না।

সাবেক ওই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘আমরা জানি বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। আমাদের প্রোগ্রামে ছাত্রলীগের কোনো শিক্ষার্থী ছিল না। সবাই সত্তর-আশির দশকের নেতারা ছিল। আমরা সবাই সাবেক।’

এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক (ডি এস ডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, অনুমতি নেওয়ার সময় তারা জানিয়েছে, তারা সাবেক শিক্ষার্থী, পুনর্মিলনী করবে ক্যাম্পাসে। সে কারণে আমরা অনুমতি দেই। কিন্তু তারা বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের ব্যানারে প্রোগ্রাম করতে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

All rights reserved © Jubokantho24.com