নিজস্ব ডেস্ক:
- ১৮ আগস্ট, ২০২২ /
পুলিশের বাঁধা সত্ত্বেও মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হকসহ সকল মাজলুম কারাবন্দীর মুক্তি দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস ঢাকা মহানগর। ১৮ আগস্ট বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বাইতুল মোকাররমে প্রশাসন কর্তৃক বাঁধার সম্মুখীন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে শুরু হয়। সেখানেও বাঁধার সম্মুখীন হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা মুহাম্মাদ খালিদ সাইফুল্লাহ।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ দের বছর যাবত মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হকসহ দেশের কয়েকজন শীর্ষ আলেম, রাজনৈতিক নেতা ও শিক্ষাবিদ কারাগারে বন্দী। তাদের সাথে নূন্যতম মানবিকতা ও দেখানো হচ্ছে না। পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়া হয়নি দীর্ঘদিন। মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ কয়েকজন অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। যা সুস্পষ্ট মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
তিনি আরো বলেন, উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শিক্ষাবিদ কারাগারে বন্দী থাকার কারণে দেশের ছাত্রসমাজের পড়াশোনায় যে বিঘ্নতা সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনোভাবেই পূরণীয় নয়। তাই ছাত্রসমাজ নিজেদের শিক্ষকদের মুক্তির দাবিতে আজ রাজপথে নেমে এসেছে। যদি মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, সাখাওয়াত হুসাইন রাজী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ সকল মাজলুম কারাবন্দীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া না হয়, তাহলে ছাত্রসমাজ একটি মরণপণ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হবে। যার পরিনতি কারো জন্যই সুখকর হবে না।
সর্বশেষ দলমত নির্বিশেষে সকল ছাত্রজনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের শিক্ষকদের মুক্তির দাবিতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার বিপ্লবী আহ্বান জানান তিনি।
মহানগর পশ্চিমের সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা রাকিবুল ইসলাম, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সহ.সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও যুব মজলিস ঢাকা জেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা জাকির হুসাইন, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা মুর্শেদ সিদ্দিকী, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহ আশরাফ, সভাপতি পরিষদ সদস্য মাহমুদুল হাসান সাগর ও মুহাম্মাদ কামালুদ্দীন। এছাড়াও মহানগর পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণের বিভিন্ন স্তরের জনশক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।