শনিবার, ০৩ Jun ২০২৩, ০৫:১২ অপরাহ্ন
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না। আমরা প্রশাসনকে খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, জনগণকে প্রতিপক্ষ বানালে তার পরিণতি শুভ হবে না। জনগণ থেকেই আপনারা এসেছেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আপনাদের বেতন চলে, সংসার চলে। সুতরাং জনগণকে সম্মান করুন। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবেন না।
দেশে মানবাধিকার নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গুলি করে হত্যা করা হয়, গুম করে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারীরা। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। সারাদেশে চাল-ডাল-লবণ-তেলের মূল্য কমানোর আন্দোলন করছি। ভোলায় ও নারায়ণগঞ্জে আমাদের ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, তার বিচার করার জন্য আন্দোলন করছি। দেশের মানুষ গর্জে উঠেছে। নুরে আলমরা প্রাণ দিতে দ্বিধা করেনি। আজকে আমি ঘোষণা করতে চাই, আমরা কেউ প্রাণ দিতে দ্বিধা করবো না। দাবি একটাই, এই দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা। ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চাই, বাঁচার অধিকার ফিরে চাই। আমরা এই চোর-ডাকাত আওয়ামী লীগ তাদের হাত থেকে মুক্তি চাই।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন চাই। তা আমরা করব। এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে, জনগণের পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা হবে- এটাই আমাদের লক্ষ্য। বিএনপির মহাসিচব বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। পার্লামেন্ট একটা আছে-এই পার্লামেন্ট এখন একটা রাবার স্ট্যাম্প পার্লামেন্ট। এটাকে আমরা বলি গৃহপালিত পার্লামেন্ট। এখানে কোনো বিরোধী দল কাজ করে না। এখানে দেশের মানুষের সমস্যা নিয়ে আলাপ হয় না।
খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার প্রতি অন্যায়-অবিচার করা হয়েছে। তাকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে-এটা কোনো মামলাই নয়। ২ কোটির মামলা- সেই টাকা এখন ব্যাংকে বেড়ে ৮ কোটি টাকা হয়েছে। আজকে তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে সব ডাক্তাররা বলেছেন। কিন্তু সরকার তাকে বাইরে চিকিৎসা করতে দিতে চায় না। কারণ দেশনেত্রীকে তারা ভয় পায়। মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে, সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।