বৃহস্পতিবার, ০৮ Jun ২০২৩, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
‘বর্তমান সময়ে ছাত্র-উস্তাদদের মনোযোগ বিধ্বংসী হাতিয়ার হচ্ছে মোবাইল’ জনগণ এখন সচেতন, ভোটাধিকার কেড়ে নিলে ছেড়ে দেয়না: প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহ : এবার দাখিল পর্যায়ের সব মাদরাসাও বন্ধ ঘোষণা দেশ ছেড়ে পালানোর অভ্যাস বিএনপির, আওয়ামী লীগের নেই : পানিসম্পদ উপমন্ত্রী হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হলেন মুফতী খলিল কাসেমী তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন এরদোগান আ.লীগকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না: প্রধানমন্ত্রী আল্লামা ইয়াহইয়া (রহ.)-এর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে জুনে আবারও হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন জো বাইডেন

হামলা হলে পুলিশ কি চেয়ে থাকবে: কাদের

যুবকণ্ঠ ডেস্ক:

পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীকে এখন নতুন করে প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে বিএনপি। পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে মর্মে মির্জা ফখরুল যে হুশিয়ারি দিয়েছেন, এ থেকে প্রমাণ হয়— তারাই তথাকথিত নিষেধাজ্ঞা ষড়যন্ত্রের হোতা। তারাই র্যাবের কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছিল। এখন পুলিশ বাহিনীকেও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তারা আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে, পুলিশের ওপর হামলা করবে আর পুলিশ কি চেয়ে থাকবে?

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের জনগণ ও জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ কি বিধিবদ্ধ দায়িত্ব পালন করবে না? হত্যা, ষড়যন্ত্র আর সন্ত্রাসের রাজনীতির প্রতিফল ভোগ করছে বিএনপি। তারা এখনো অতীত থেকে শিক্ষা নেয়নি। তারা তাদের অতীতের ভুলের মাসুল দিচ্ছে। এখনো যদি গণতন্ত্রের পথে ফিরে না আসে তা হলে ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ তার জবাব দেবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির মহাসচিব আবারও সরকারের পদত্যাগ দাবি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলেছেন। বারবার মামাবাড়ির আবদার নিয়ে হাজির হন ফখরুল সাহেব। সরকার কেন পদত্যাগ করবে? আওয়ামী লীগ জনরায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। জনগণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পাঁচ বছরের জন্য দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। মেয়াদ শেষে যথাসময়ে সংবিধানসম্মতভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। কাজেই সরকারের পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে কে ক্ষমতায় থাকবে আর কে থাকবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে দাবি ফখরুল সাহেব করেছেন, সেটি তো মীমাংসিত একটি বিষয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে। মীমাংসিত একটি বিষয় নিয়ে নতুন করে আলাপ-আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, এখনকার পার্লামেন্ট নাকি গৃহপালিত। জাতীয় সংসদকে নিয়ে ফখরুল সাহেবের এ ধরনের বক্তব্য অনভিপ্রেত এবং জাতীয় সংসদের জন্য অবমাননাকর। বিএনপি মহাসচিবকে বলতে চাই— আপনি যে সংসদকে গৃহপালিত বলছেন, সেই সংসদে তো বিএনপির জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন। তবে কি তারা গৃহপালিত? প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের অবান্তর ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা তাদের মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আমরা বিএনপি নেতাদের আহ্বান জানাব— দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য পরিহার করুন এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করুন।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

All rights reserved © Jubokantho24.com