শনিবার, ০৩ Jun ২০২৩, ০৫:০৮ অপরাহ্ন

প্রধানমন্ত্রী হেফাজতের দাবিগুলো অবশ্যই দেখবেন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেফাজতে ইসলামের যৌক্তিক দাবিগুলো অবশ্যই দেখবেন বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দাবি-দাওয়া তো আপনাদের জানার কথা নয়। প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তাদের সন্তুষ্ট করেছেন। তাদের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে জানিয়েছেন তাদের দাবি-দাওয়া যেগুলো যৌক্তিক সেগুলো তিনি অবশ্যই দেখবেন, সেগুলো করে দেবেন আর যেগুলো একটু সময় লাগবে সেগুলো তিনি নজরে আনবেন।

আজ (১৮ ডিসেম্বর) রবিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির ৬ষ্ঠ সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

এর আগে, শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি, মামলা প্রত্যাহারসহ ৭ দফা দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে হেফাজতে ইসলাম বাংলাশের নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রবেশ করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, হেফাজতের নায়েবে আমীর আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মুফতি জসিম উদ্দীন, মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরিস, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী ও সাধারণ সম্পাদক মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আযহারী প্রমুখ।

হেফাজতে ইসলামের প্রধানমন্ত্রীর সাথে হেফাজত নেতাদের আলোচনা হয়। হেফাজতের সাত দফা দাবি হলো- ১. অবিলম্বে হেফাজত নেতাকর্মী ও আলেম-উলামাদের মুক্তি দিতে হবে। ২. হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ৩. ইসলাম ও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে। ৪. কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। ৫. শিক্ষা কারিকুলামে ধর্ম শিক্ষার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ৬. জাতীয় শিক্ষা কমিশনে হাইয়াতুল উলইয়ার প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং ৭. বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সা’দকে আসার অনুমতি দেয়া যাবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রসঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এরপর আমার মনে হয় আমার আর ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। প্রথম কথা হচ্ছে তার নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি পড়েনি। সেখানে আমাদের পুলিশ বাহিনী ছিল। পুলিশ বাহিনী যখনই শুনেছে একজন মার্কিন রাষ্ট্রদূত সেখানে যাচ্ছেন, পুলিশ বাহিনীর কর্তব্য হয়ে গিয়েছিল সেখানে যেতে। আপনারা যদি ওই ইয়েগুলো (ভিডিও) দেখে থাকেন সেখানে দেখবেন আমাদের ওসি পোশাক পরার আগেই দৌড়ে সেখানে সিভিল ড্রেসে চলে গিয়েছিলেন। কাজেই পুলিশও সেখানে চলে গিয়েছিল। এখানে তার নিরাপত্তার অভাব ঘটেছে বলে আমার কাছে কোনো রিপোর্ট আসেনি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ওখানে যে যাবেন, সেটা আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানা উচিত ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানে না, আমরাও এ ব্যাপারে কিছু জানি না।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

All rights reserved © Jubokantho24.com