সড়ক তিনটি হলো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস থেকে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত, টঙ্গীÑঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের মিরের বাজার থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত এবং রাজধানী ঢাকার কামারপাড়া থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত।
গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল থেকে টঙ্গীর আশপাশ এলাকায় প্রচুর মুসল্লি বেড়েছে। তাঁদের কেউ কেউ ইজতেমা মাঠে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন। সারাক্ষণ সড়কে চলাচল করছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের দিন। এদিন আরও বেশি লোকসমাগম হবে। তাই তাঁদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মো. আলমগীর হোসেন বলেন, কিছু যাত্রীবাহী বাস সীমিত আকারে চলতে দেওয়া হবে। অর্থাৎ যেগুলো না চললে নয়। কিন্তু রাত থেকে এসব সড়কে সব পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। এসব গাড়ি বিভিন্ন পথে ডাইভারশন করে (ঘুরিয়ে) ঢাকায় পাঠানো হবে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি বা ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।
বিমানবন্দর থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কের ক্ষেত্রে একই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সড়কটুকুতে যান চলাচল সীমিত করেছি। কাল অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
টঙ্গীর তুরাগপাড়ে ইজতেমা ঘিরে মুসল্লিদের ভিড় বাড়ায় আজ সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর থেকে টঙ্গীর কলেজ গেট, কামারপাড়া-টঙ্গী স্টেশন রোড এবং টঙ্গী ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে মিরের বাজার পর্যন্ত যান চলাচলে ব্যাপক ধীরগতি দেখা যায়। মাঝেমধ্যে থেমে থেমে যানজট দেখা দেয়। এতে অনেকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন।
যানজটের বিষয়ে উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, মুসল্লিদের প্রচুর ভিড় বাড়ায় সকালে কিছুটা সমস্যা ছিল। তবে দুপুরের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।