বৃহস্পতিবার, ০৮ Jun ২০২৩, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন
দুরু দুরু বুকে, অশ্রুসজল চোখে, বুকভরা কষ্টে, বড় দ্বিধা-সঙ্কোচ নিয়ে হাতে কলম নিয়েছি। ভেবেছি আজ লিখব প্রিয় ওলামা-ত্বলাবাদের রক্তে রঞ্জিত তুরাগ তীরের কথা। ভেবে ভেবে কিছুই পাই না। রক্তে লাল তুরাগ তীরের কথা ভাঙ্গা কলম দিয়ে কি লেখা যায়? জানি কিছুই লেখা যায় না। তবুও অশান্ত মনকে সান্ত্বনা দেওয়ার আশায় হাতে কলম নিয়েছি। এতে যদি হৃদয়ের কিঞ্চিৎ ব্যথা উপশম হয়। আলেমদের নিধনযজ্ঞ আমাকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। রক্তের উচ্ছ্বাস আমাকে কাতর করে ফেলেছে। চারিদিকে রক্তের ফোয়ারা। শুধু বাতিলের আনাগোনা। পশ্চাত্য সভ্যতা বাতিলের মূল হাতিয়ার। হক বাতিলের লড়াই চিরকাল। এখনো চলছে। সামনেও চলবে। বাতিলের সঙ্গে কোনো আপোস নেই। বাতিলকে দমিয়ে সত্য প্রকাশিত হবেই। তবে কুদরতের বিধান হলো, যুগের সব শক্তি ও সময়ের সব কৌশল তাদের হাতে। অপরদিকে হকপন্থি যারা, তাঁদের কোনো সহায় থাকে না। উৎসাহ থাকে না। শক্তিহীন, সম্বলহীন এক জাতি। এটা আজকের ঘটনা নয়। বহুদিনের। এটা বর্তমানের ইতিহাস নয়। চিরকালের। হে প্রিয় বন্ধু! বারবার তোমার রক্তের বিনিময়ে ইতিহাসে যোগ হয়েছে নতুন অধ্যায়। একের পর এক বাধার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে চলেছ তুমি। এটাই তো তোমার সফলতার চাবিকাঠি। তোমার খুন কখনো বৃথা যাবে না ইনশাআল্লাহ ২০১৩ সালে মার্চের কালো রাতে তোমার রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল শাপলা চত্বর। আবার ২০১৮ সালে তোমার তাজা খুনে রঞ্জিত হলো দাওয়াতের প্রান্তর। এভাবে একের পর এক বয়েই চলছে তোমার প্রতি ইসলাম বিদ্বেষী হায়েনাদের বিষাক্ত ছোবল। ভ্রান্ত সাদপন্থিদের অমানবিক নির্যাতন। তবুও কি তোমার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গে না? তুমি তো বীরের জাতি। পশ্চাত্য সভ্যতা তোমার ঈমানি তাজ্জালির ঢেউয়ে ভেসে যাবে। হে বন্ধু! বুকে জমিয়ে রাখ সাহাসের পাহাড়। সদা অবিচল থাক বিপ্লবী ধারায়। নেমে আসবে খোদার মদদ। স্তব্ধ হয়ে যাবে বাতিলের তর্জন-গর্জন। ছারখার হয়ে যাবে যত কল্পনা-জল্পনা। আজ বিশ্বসভ্যতা কোথায়? মুসলিম জাতির সুদীর্ঘ চৌদ্দশ বছরের ইতিহাস আর বর্তমান মুসলিম জাহানের ঘটনাপ্রবাহ হাদীসে নববীর বাণী ও তাঁর বক্তব্যের চিরসত্যতা প্রকাশ পাচ্ছে। আল্লাহর যাত ও সিফাতের প্রতি ও তাঁর গায়েবি মদদের প্রতি মুসলিম জাতি যখন বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে তখন বিশ্ববাসী মুমিনরা দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনকে তুচ্ছ ভেবে আখেরাতের অনন্ত জীবনকে অগ্রাধিকার দিতে পেরেছে। দুনিয়ার কোনো পরাশক্তি তাঁদেরকে দুর্বল করতে পারেনি। কেননা তাদের মাঝে রয়েছে ঐক্যের চেতনা ও আত্মত্যাগের প্রেরণা। শহীদি তামান্নায় ব্যাকুল তাঁদের জীবন। পক্ষান্তরে যারা মুসলিম নামে পরিচিত, কর্মে সর্বহারা। যাদের অন্তরে লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেস বাসা বেঁধেছে, ক্ষমতার লোভ শোভা পেয়েছে তাদের হৃদয় থেকে বের হয়েছে ঈমানি তাজ্জালি ও সং বিবেক। ফলে তারা খুঁজে পেয়েছে ষড়যন্ত্রের চিন্তাধারা ও পশ্চাত্য সভ্যতা। অবশেষে তারা সর্বহারা হয়ে দালালে পরিণত হয়েছে।