শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০১:০৪ অপরাহ্ন

আর প্রার্থী নেই, বিনাভোটেই রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন

বাংলাদেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। আর কোনো প্রার্থী না থাকায় তার রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না।

নানা আলোচনা অনুমান ও ভবিষ্যৎ বাণীকে অন্তঃসারশূন্য প্রমাণ করেই রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন তিনি৷ এখন অপেক্ষা শুধু আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণার।

বিধান অনুযায়ী, আগামীকাল সোমবার প্রার্থিতা বাছাইয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ বিবেচিত হলে নির্বাচন কমিশন তাঁকে নির্বাচিত ঘোষণা করবে। এখন বাকি শুধু আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষের।

আজ রবিবার বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এর আগে সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সে সময় শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি পদে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে প্রার্থী মনোনীত করার সিদ্ধান্ত দেন বলে আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার বৈঠক করে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দল দলের নেত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় প্রার্থী বাছাই করার দায়িত্ব দিয়েছিল। আজ সকালে দলীয় সভাপতির কাছে সিদ্ধান্ত পাওয়ার পরই ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র পেশ করেন।

সকালে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র পেশ করার পর নির্বাচন কমিশনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে ওবায়দুল কাদের জানান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন প্রদান করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাননীয় সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি পার্টির প্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় শেখ হাসিনা এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন।

এদিকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর মধ্যে একমাত্র আওয়ামী লীগই প্রার্থী দিয়েছেন।

পাবনার সন্তান মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর জন্ম ১৯৪৯ সালে। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন।

বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের মৃত্যুতে খালি থাকা প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান পদে তাকে মনোনীত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

All rights reserved © Jubokantho24.com