সোমবার রাতে ফটিকছড়িতে শাহসুফি সৈয়দ শফিউল বশর (ক.) মাইজভান্ডারীর খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে আয়োজিত ওয়াজ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, আমি ১৪ দলীয় জোটে আছি এবং থাকবো। ওরা এখনও নজিবুল বশর কি তা চিনে নাই। আমার জন্য অনেকে কথা বলবে। বিএনপিকে ঘরে ঢুকানো সম্ভব, কিন্তু নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে না।
দুদক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ৩৯ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে টাকা জমা দিয়ে দিলে কি আর টাকা আত্মসাত থাকে? ওই মামলায় ৬৫ কোটি টাকা যা জমা হয়েছে দুদক তা গোপন করেছে। দুদক নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে চিনে নাই।
দুই ছেলেসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের করা মামলার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে উল্টো দুদকের বিরুদ্ধে রিট করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আমি দুদকের বিরুদ্ধে রিট করবো।
আমি এবং আমার ছেলের জন্য মাইজভান্ডার দরবার শরীফ কলঙ্কিত হবে তার চেয়ে মরে যাওয়ায় ভালো। তিনি বলেন, দুদক মাইজভান্ডার ও তরিকত বিরোধীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, আমার সিট আমি ঠিক করি। সরকারও জানে। কওমির সঙ্গে সরকারের গণ্ডগোল, আমি সরকারকে সহযোগিতা করেছি। আগামী নির্বাচনেও আমি এখান থেকে এমপি নির্বাচিত হবো। আমি ভেসে আসি নাই। মাইজভান্ডারের দিকে যারাই অসৎ উদ্দেশ্য হাত দিয়েছে তাদের হাত পুড়ে গেছে।
এর আগে প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির ছেলে তরিকত ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী ও তার ভাই সৈয়দ আফতাবুল বশর মাইজভান্ডারীসহ ১৪ জনের নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত (১৯ ফেব্রুয়ারি) রবিবার বিকেলে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।