বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেছেন, আমরা দেড় বছর কারাগারে ছিলাম, মামুনুল হক দুই বছর কারাগারে আছেন কিন্তু তাঁকে তাঁর পরিবারের সাথে দেখা করতে দেয়া হয়না। আমাদের কারাগারের কোন সুবিধা দেয়া হয়নি কিন্তু কারাগারের ফ্যাসিলিটি বাড়ছে, নতুন নতুন ভবন হচ্ছে। কারাগারে কথা চালু আছে এই ভবন বর্তমান ক্ষমতাসীনদের জন্য তৈরী হচ্ছে। মনে রাখুন, কারাগারের ফ্যাসিলিটি বৃদ্ধি করুন আপনাদের জন্য কারাগার অপেক্ষা করছে। মাওলানা মামুনুল হক সহ আলেমদের সাথে ভালো আচরণ করুন। ভবিষ্যতে আপনারাও ভালো আচরণ পাবেন।
এসময় তিনি বলেন আসন্ন বিপদ থেকে বাচতে মাওলানা মামুনুল হক, সাখায়াত হুসাইন রাজী, মুনির হুসাইন কাসেমী, মুফতি হারুন ইজহার, রফীকুল ইসলাম মাদানী সহ সকল বন্দী আলেমদের রমজানের পূর্বে মুক্তি দিন। অন্যথায় রমজানে দেশ অশান্ত হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে হুশিয়ারি দেন।
সমাবেশে বক্তারা পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী ইজতেমা বন্ধের আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী বলেন, এই সরকার দিনের ভোট রাতে করেছে, আগামি নির্বাচন নিয়ে খেলা শুরু করেছে, নির্বাচন নিয়ে খেলা বন্ধ করুন। সকল দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নাহয় পরিণতি শুভ হবেনা।
সরকারের উদ্যেশ্যে বক্তারা বলেন, মিথ্যা মামলা দায়েরের যে সংস্কৃতি শুরু করেছেন তা বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে এর মাশুল আপনাদের গুনতে হবে।
যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান ও প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক মাওলানা রাকীবুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হুসাইন মিয়াজী, যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও বাইতুল মাল সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শরীফ হুসাইন, মাওলানা এহসানুল হক, কেন্দ্রীয় মজলিসে খাস সদস্য মাওলানা জাহিদুজ্জামান, খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা মুহাম্মাদ খালেদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা হাফেজ কাজী নিজামুদ্দীন, মাওলানা নাজমুল ইসলাম শাকিল, মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফ, মাওলানা মুর্শিদ সিদ্দিকী, মাওলানা জাকির হুসাইন প্রমুখ।