রবিবার, ০৪ Jun ২০২৩, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :

পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক : চরমোনাই পীর

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা ও বাধ্যতামূলক করা মুসলিম জাতিসত্ত্বার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, পহেলা বৈশাখের নামে অশ্লীলতা ও বিজাতীয় সংস্কৃৃতি বাধ্যতামুলক করা বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে বেদনাদায়ক ও দুর্ভাগ্যজনক। ইসলামের ওপর বার বার আঘাত করা হলে এদেশের ইসলামপ্রিয় ঈমান মুসলমানরা সহ্য করবে না। পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। ওটা হিন্দু সম্প্রদায়ের সংস্কৃৃতি হতে পারে, মুসলমানের কোন সংস্কৃতি নয়। কাজেই মুসলমানরা ইসলামী সংস্কৃতি চর্চা করবে এবং অনৈসলামী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কথা বলবে, এটাই স্বাভাবিক। আজ (১৩ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বলেন, বাংলা বর্ষপঞ্জি ষোড়শ শতকে মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে ফসল রোপণ ও কর আদায় সহজ করার উদ্দেশ্যে হিজরি সনকে অনুসরণ করে তৈরি করা হয়। বিভিন্ন লোকসংগীত, হালখাতা, পিঠাপুলি উৎসবের মাধ্যমে আবহমানকাল থেকে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়ে আসছে। যা বাঙালি সংস্কৃতির চিরচেনা রূপ। কিন্তু মাত্র তিন দশক থেকে একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে মনগড়া ও নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতীক ব্যবহার করে সার্বজনীন বাঙালি সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র উৎসব ও জাতিসত্তার ধর্মীয় বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করছে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বোধ-বিশ্বাসকে উপেক্ষিত করে বাঙালি সংস্কৃতির নামে ভিনদেশী সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার নীল নকশা অংকন করা হচ্ছে। মঙ্গল শোভাযাত্রার আশ্রয়ে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে নিজস্ব সংস্কৃতির স্বকীয়তা নষ্ট করে দেওয়ার চক্রান্ত স্পষ্ট। মঙ্গল শোভাযাত্রার বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই। পবিত্র রমজানের ভাবগাম্ভীর্যতা ও সম্মান রক্ষাসহ নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশ ও চর্চায় মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে চাপিয়ে দেওয়া সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বিরত থেকে ইসলাম বিধৌত বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশে দেশবাসী ও সচেতন শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে ভিনদেশি সংস্কৃতি থেকে বিরত থাকতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

All rights reserved © Jubokantho24.com