সোমবার, ০৫ Jun ২০২৩, ০৭:০২ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :

স্মৃতির পাতায় শাপলার রক্ত ভেজা ৫ই মে

  • শাব্বির আহমেদ

‘মে মাস’ আসলেই কুঁকড়ে যাই ব্যথা-বেদনাই।হৃদয় আকাশে কালো মেঘ জমে।ফিরে যাই ‘দুই হাজার তের’তে। সবেমাত্র কুরআন শরীফ নিয়েছি।নাজেরা পড়ি তখন। নাস্তিকতা বুঝি না।কারা নাস্তিক জানি না। চিনি না।কেন কিছু মানুষকে নাস্তিক বলে, তখনো বুঝি না আমি।তবে এতটুকু বুঝেছি যে,যারা ইসলামকে পছন্দ করে না।মুসলমানের ক্ষতি সাধনে লিপ্ত সর্বদা তারাই নাস্তিক। তখনকার বুঝ ছিলো এরকম।দিন যত যাচ্ছে তত বুঝছি।

হল রুমে মাদরাসার সকল ছাত্র-উস্তাদ একত্র করা হলো।একজন উস্তাদ দাঁড়ালেন। তিনি বক্তব্য দিলেন,’সামনে সমূহ বিপদ।একদল ইসলাম বিদ্বেষী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।তারা শাহবাগ চত্বরে অবস্থান নিয়েছে।তারা জামাত নেতাদের পাশির দাবি জানাচ্ছে। সেই সাথে ইসলামকে আঘাত করে নানা বিদ্রুপাত্মক বক্তব্য দিচ্ছে। কিছু ব্লগার ‘প্রিয়নবী রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘কে অবমাননা করে লেখা লিখছেন।গালাগাল করছেন।চরিত্রহীন, সন্ত্রাসী বলে অপপ্রচার করছেন।’

এই সমস্ত কুলাঙ্গারদেরকে দমানোর জন্য, নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্যই ‘হেফাজতে ইসলামের’ উত্থান। ইসলাম বিদ্বেষীদের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ‘আল্লামা শাহ আহমদ শফি ও জুনায়েদ বাবুনগরী। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ,নবীপ্রেমি মুসলমান রাজধানী ঢাকার দিকে রাওনা দেন।সরকার দু’দিন আগ থেকে গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ করে দেন। সকল বাঁধা উপেক্ষা করে নবীপ্রেমিরা ঢাকায় একত্র হয়।ঢাকা প্রায় অচল হয়ে পড়ে।নেতৃস্থানীয় আলেমগণ ‘মতিঝিল শাপলা চত্বরে অবস্থান করেন।সেখান থেকেই পুরো আন্দোলন মনিটরিং করছিলেন। ক্লাস শেষে আছরের নামাজ পরে বাসায় যাচ্ছি। সে সময় চায়ের দোকানগুলোয় ভীড় দেখে এগিয়ে গেলাম। সব দোকানগুলোতেই খবরের চ্যানেল দেওয়া।খবেরে একবার শাপলা চত্বরে আলেম নেতাদের বক্তব্য দেখাচ্ছেন।আরেকবার বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত কর্মী ও পুলিশের মাঝে সংঘর্ষের ফুটেজ দেখাচ্ছেন।অনেক জায়গা থেকে অনেক হতাহতের খবরও আসছিলো। সেদিন রাতেই ঘটে যাই ইতিহাসের পাতায় এক বর্বরোচিত হত্যাকান্ড।ট্রাকে করে লাশ নিয়ে যাওয়া হয়।গুম করে ফেলা হয় হাজার হাজার নবিপ্রেমির লাশ।

এই আন্দোলনেও নির্বাচনী মার্কা নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন নির্দিষ্ট একটি ইসলামিক দল।থাকতে চেয়েছিলেন সামনের কাতেরে।এখানেও পদ নিয়ে হয়েছিলো কাড়াকাড়ি। অনকে তো আবার আন্দোলন চলমান অবস্থায় স্টেজের পেছনে বসে পড়েছেন, মন্ত্রীর চেয়ার ভাগাভাগিতে।সরকার পতনের নীলনকশা আঁকতে। তাদের মধ্যে অনেকেই শাস্তি পেয়ে গেছে এই দুনিয়াতেই।অনেকে হয়তো এই দুনিয়াতেঔ শাস্তি পাবেন,নয়তো ঐ দুনিয়ায়। এ দুনিয়ায় ছাড় পেলেও ঐ দুনিয়ায় ছাড় পাবেন না।

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

All rights reserved © Jubokantho24.com