সোমবার, ০৫ Jun ২০২৩, ০৭:৫১ অপরাহ্ন
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন হোমল্যান্ড পার্টির প্রার্থী মুহারেম ইনস। নির্বাচনের মাত্র তিন দিন আগে বৃহস্পতিবার (১১ মে) হঠাৎ করে এমন ঘোষণা দেন তিনি। আগামী রোববার (১৪ মে) তুরস্কে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, মুহারেম ইনস সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের জন্য খারাপ হতে পারে। অপরদিকে এ বিষয়টি এরদোয়ানের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিকদারোগলোর জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে।
হোমল্যান্ড পার্টির মুহারেম ইনসের যেসব সমর্থক আছেন তারা তাদের ভোটগুলো এখন কেমালকে দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোমল্যান্ড পার্টির মুহারেম ইনস নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পর একটি টুইট করেন কেমাল। এতে ইনসকে তার নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি।
এদিকে তুরস্কের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবমিলিয়ে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। এরমধ্যে একজন সরে দাঁড়ানোয় আর মাত্র তিনজন এই দৌঁড়ে টিকে রইলেন।
নির্বাচন নিয়ে গত ৬ ও ৭ মে ৩ হাজার ৪৮০ মানুষের ওপর একটি জরিপ চালায় তুরস্কের স্বাধীন গবেষণা এবং পর্যবেক্ষক সংস্থা কোন্ডা। এতে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন কেমাল। গড়ে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তাকে নেতৃত্বে দেখতে চান। এরদোয়ানকে চান ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ। তৃতীয় প্রার্থী সিনান ওরগানের প্রতি সমর্থন রয়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটারের। অপরদিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো মুহারেম ইনসের প্রতি সমর্থন ছিল ২ দশমিক ২ শতাংশের। এই ভোটগুলোই এখন কেমালের ব্যালটে যেতে পারে।
তুরস্কের নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে- একজন প্রার্থীকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ ভোট এককভাবে পেতে হবে। যদি কেউ এককভাব ৫০ শতাংশ ভোট না পান তাহলে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে দুই সপ্তাহ পর রানঅফ নির্বাচন হবে। এতে যে বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
এদিকে মুহারেম ইনস যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তখন আঙ্কারায় একটি নির্বাচনী প্রচারনায় ছিলেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।