ভিকারুননিসায় হিজাববিরোধী আচরণ : শিক্ষিকাকে বহিষ্কার ও কঠোর শাস্তির দাবি বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের

ভিকারুননিসায় হিজাববিরোধী আচরণ : শিক্ষিকাকে বহিষ্কার ও কঠোর শাস্তির দাবি বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের

তারিখ: ২৫ আগস্ট ২০২৫
সূত্র: প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখায় ২৪ আগস্ট ষষ্ঠ শ্রেণির প্রায় ২২ জন ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনাকে “গর্হিত, ধর্মবিদ্বেষী ও চরম উসকানিমূলক” আখ্যায়িত করেছে বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদ।

পরিষদের নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন— একজন শিক্ষক হয়ে ইসলামের ফরজ বিধান হিজাবকে অবমাননা করা কেবল শিক্ষকতার নীতিবিরোধী নয়, বরং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশের সাংবিধানিক মূল্যবোধেরও পরিপন্থী। অভিযুক্ত ইংরেজি শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহার ছাত্রীদের উদ্দেশে “জঙ্গির মতো লাগে” মন্তব্য করে তাদের ক্লাস থেকে বের করে দেন, যা সরাসরি ইসলামবিদ্বেষের ঘৃণ্য বহিঃপ্রকাশ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হিজাব মুসলিম নারীর ঈমানি পরিচয় এবং আল্লাহ প্রদত্ত ফরজ বিধান। এর বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান ইসলামের প্রতি প্রকাশ্য শত্রুতা। তাই সরকারকে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর সাহস না পায়।

পরিষদ নেতারা আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে একদল পরিকল্পিতভাবে ইসলামবিদ্বেষী পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষকদের বিরুদ্ধে হুমকি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলামের বিধানের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে কটাক্ষ—সবই একই ধারাবাহিকতার অংশ। এরা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ভেঙে ফেলে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে।

বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, সরকারকে অবশ্যই ইসলামবিদ্বেষী এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এ ধরনের ঘটনাকে প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

বার্তা প্রেরক:
মুফতি কামালুদ্দীন
সভাপতি বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদ
মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিন
সাধারণ সম্পাদক
বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদ

Jubokantho24 Ad
এ জাতীয় আরো সংবাদ
এ জাতীয় আরো সংবাদ