ইয়েমেন ও সে দেশের জনগণের প্রশংসা করে যে বাণী দিয়েছেন মহানবী (সাঃ)

মানবতার মুক্তির দিশারী মহামানব ইসলামের সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইয়েমেন সম্পর্কে বেশ কিছু হাদীসে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। ইয়েমেনের মানুষ, তাদের ঈমান ও তাদের গুণাবলী নিয়ে প্রশংসা ঝড়েছে স্বয়ং আল্লাহর প্রিয় রাসূল (সাঃ) এর কণ্ঠে। বেশ কিছু সহীহ হাদিসে উঠে এসেছে ইয়েমেন ও ইয়েমেনের জনসাধারণকে নিয়ে করা রাসূল (সাঃ) এর সে সকল প্রশংসা।

সে সবের মধ্যে কয়েকটি সহীহ হাদীস তুলে ধরা হলো। ইয়েমেন ও ঈমান সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেছেন: “ঈমান ইয়েমেনের, আর হিকমতও ইয়েমেনের।”(সহীহ বুখারী ৩৪৯৯, সহীহ মুসলিম ৫২) অর্থাৎ ইয়েমেনের মানুষের মধ্যে ঈমান ও প্রজ্ঞার বৈশিষ্ট্য প্রবল থাকবে। যা বলেছেন স্বয়ং মাহনবী (সাঃ)।

ইয়েমেনের লোকদের নম্রতা ও হৃদয়ের কোমলতা নিয়ে রাসূল (সাঃ) অন্য এক হাদিসে বলেছেন: “ইয়েমেন থেকে তোমাদের কাছে লোক আসবে, তারা কোমল হৃদয়ের, নরম মনের। ঈমান ইয়েমেনের, আর কুফর হলো পূর্বদিকে (নজদ অঞ্চলে)।” (সহীহ বুখারী ৪৩৮৮, সহীহ মুসলিম ৫০)

অপর এক হাদিসে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ইয়েমেনের জন্য দো‘আ করে বলেছেন: “হে আল্লাহ! আমাদের শামে বরকত দাও, আমাদের ইয়েমেনে বরকত দাও।” (সহীহ বুখারী ৭০৯৪)

এছাড়া রাসূল (সাঃ) ইয়েমেন থেকে আসা আশআরী গোত্র সম্পর্কে বলেছেন: “আশআরীরা যখন খাদ্য কম পায়, তারা সবাই একত্র হয়ে একটি চাদরে খাবার রাখে, তারপর সবার মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে নেয়। তারা আমার কাছের লোক এবং আমি তাদের কাছের লোক।” (সহীহ বুখারী ২৪৮৬, সহীহ মুসলিম ২৫০০)

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইয়েমেন ও ইয়েমেনের মানুষকে ঈমান, হিকমত, কোমলতা ও ভ্রাতৃত্বের দিক থেকে প্রশংসা করেছেন এবং ইয়েমেনের জন্য বিশেষ দো‘আ করেছেন। অন্যদিকে ইয়েমেনের মানুষরা রাসূল (সাঃ) এর আদর্শ কতটা মানে তার প্রমাণও মিলেছে সম্প্রতি। ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাসূলের প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রদর্শনে লক্ষ লক্ষ ইয়েমেনি রাস্তায় নেমে এসেছিলো রাসূলের প্রতি সালাম জানাতে। যা তাদের ভালোবাসারই বাহিঃপ্রকাশ।

Jubokantho24 Ad
এ জাতীয় আরো সংবাদ
এ জাতীয় আরো সংবাদ
সর্বশেষ
সর্বশেষ