JuboKantho24 Logo

ফেসবুক ছেড়েছেন যারা কেমন আছেন তারা?

‘এখন ঘুম থেকে উঠেই অন্যের এচিভমেন্টে তালি দেওয়ার তাড়া নেই। প্রতিমুহূর্তে জীবনের প্রতিযোগিতা নিয়ে সচেতন থাকতে হচ্ছে না। অপ্রয়োজনীয় ইস্যু নিয়ে নেগেটিভিটি, কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি থেকেও একদম দূরে থাকছি।  ফেসবুকে থাকলে এসব নিয়ে নিজেকে প্রায়ই ছোট মনে হত। অযাচিত চাওয়া-পাওয়ার হাহাকার বাড়ত।’

করোনা মহামারীতে সবাই যখন যোগাযোগের জন্য অনলাইন মাধ্যমে ঝুঁকছিলেন তখনই সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়ার ‘কঠিন’ সিদ্ধান্তটি নেন জুলকার নাইন মাহফুজ। তখন পর্যন্ত ফেসবুকে রোজ প্রায় ছয়-সাত ঘণ্টা ব্যয় হতো তার। নিজের লেখা গল্প-কবিতা শেয়ার করার বাইরে বাকি সময়ের বেশিরভাগই কাটত অকারণে নিউজফিড স্ক্রল করে।

এতে করে তার একাডেমিক পড়ালেখা বা সৃজনশীল কাজের সময় যেমন ব্যহত হচ্ছিল তেমনি ভুগতে শুরু করেছিলেন ‘অবসেসিভ কম্পারিজন ডিজঅর্ডার’এর মতো মানসিক পীড়াতেও। ফেসবুকে অন্য বন্ধুদের পোস্টে বেশি লাইক-কমেন্ট পেতে দেখে বা অন্যদের ঘুরে বেড়ানোর ছবি দেখে সবকিছুর তুলনা করতে শুরু করেন নিজের সঙ্গে। মাহফুজের ভাষ্যে, ‘কেন অন্যরা বেশি লাইক-কমেন্ট পাচ্ছে, আমি পাচ্ছি না। অন্যরা ট্যুরে যাচ্ছে আমি কেন যেতে পারছি না- এসব ভেবে মানসিক দীনতা কাজ করত আমার খুব।’

নিজের মানসিক শান্তি ফিরিয়ে আনতে তাই ফেসবুক-ইন্সটাগ্রামের মতো সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মাহফুজ। বিগত তিন বছর যাবত ফেসবুকসহ জনপ্রিয় সব সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকছেন বর্তমানে ঢাকার হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী।

২০২১ সালে ‘জার্নাল অব কমিউনিটি সাইকোলজি’তে প্রকাশিত ‘অ্যাসোসিয়েশন বিটউইন দ্য ইউজ অব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটস অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ অভ ইয়াং জেনারেশন অব বাংলাদেশ: আ ক্রস-সেকশনাল স্টাডি’ শীর্ষক গবেষণায় দেখা যায় দেশের ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিঃসঙ্গতায় ভোগেন ৬৪ শতাংশ, ডিপ্রেশনে ভোগেন ৩৮ শতাংশ, সাধারণ উদ্বেগে ভোগেন ৬৩ শতাংশ, আর ঘুমের ব্যাঘাতের সমস্যায় ভোগেন ৭৫ শতাংশ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিউ রিসার্চ সেন্টারের ২০২০ সালের ডাটা অনুযায়ী, ৬৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকান মনে করেন সোশ্যাল মিডিয়া তাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তবু ৭২ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক আমেরিকান কমপক্ষে একটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একাউন্ট ব্যবহার করেন।

সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোর তালিকায় প্রথমেই আসে ফেসবুকের নাম। অনলাইন নানান মাধ্যমের নেতিবাচক দিক নিয়ে চলমান আলোচনার ভেতর দেশের অনেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীই ফেসবুকের মায়া কাটিয়েছেন। যাদের অনেকেই ছিলেন ফেসবুক আসক্ত। ফেসবুক ছাড়ার কারণ, অভিজ্ঞতা ও মানসিক স্বাস্থ্যের পরিবর্তন নিয়ে তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর।

সদ্য কলেজ পাশ তরুণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে মধ্যবয়সী চাকরিজীবীও আছেন এই দলে। সবার অভিজ্ঞতা ভিন্ন ভিন্ন হলেও ফেসবুক ছাড়ার পর তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সকলেই। লম্বা সময়ের জন্য ফেসবুক থেকে বিরতি নিয়ে যারা ফিরে এসেছেন তারাও এখন সচেতন থাকছেন ফেসবুক আসক্তি নিয়ে।

আত্ম উন্নয়নে সময় দিচ্ছেন বেশি 

‘ফেসবুকে আমি যাদের কন্টেন্ট দেখতাম তারা ঠিকই লাভবান হত, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই সেগুলো থেকে আমার কোনো লাভ হত না,’ ফেসবুক ছাড়ার ক্ষেত্রে এই চিন্তাটি বেশ প্রেরণা জুগিয়েছিল জুলকার নাইন মাহফুজকে। ছোটবেলা থেকেই বই পড়তে খুব ভালোবাসেন তিনি। তিন বছর আগে ফেসবুকে সময় ব্যয় করতে গিয়ে সপ্তাহে বড়জোর একটি বই পড়ার সুযোগ পেলেও এখন প্রতি সপ্তাহেই কমপক্ষে তিনটি বই পড়া হচ্ছে তার। নানান বিষয়ের বই পড়তে পারায় আত্মউন্নয়ন নিয়েও সন্তুষ্ট মাহফুজ।

চট্টগ্রামের বাসিন্দা আবু উসামাও একসময় বেশ নিয়মিত ছিলেন ফেসবুকে। নানান বিষয়ে লেখালেখি করে বেশ খ্যাতিও জুটেছিল তার। কিন্তু দিনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করে ফেসবুকে পাওয়া লাইক-কমেন্টের বাস্তব জীবনে কোনো মূল্য নেই বুঝতে পেরে সীমিত করতে শুরু করেন ফেসবুকে কাটানো সময়। একাডেমিক কাজের আপডেট পেতে অল্পবিস্তর ফেসবুক ব্যবহার করতে হলেও ২০২০ সালে পড়ালেখার পাট চুকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরোপুরি বিদায় জানান এই সামাজিক মাধ্যমকে।

ফেসবুক আসক্তি কমাতে তিনি সাহায্য নিয়েছিলেন ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং-এর মতো অ্যাপের। যেখানে অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের সময়সীমা রেকর্ড করে রাখা যায়। অপ্রয়োজনে সময় নষ্টের হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়ায় সেই আসক্তি ছাড়তে সুবিধা হয়েছিল আবু উসামার।

ফেসবুক ছাড়ার পর নতুন ভাষা শেখা, ফটোশপ, ভিডিও এডিটিং-এর মতো নানান নতুন দক্ষতা অর্জনে সময়কে কাজে লাগাচ্ছেন উসামা। বইও পড়ছেন আগের চেয়ে অনেক বেশি। ‘অনলাইনে অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে কথা কাটাকাটি না করে নিজের ভালোর জন্য সময় ব্যয় করছি এখন। ফেসবুকের আবর্জনাময় জগতে আর ফেরার কোনো ইচ্ছা নেই,’ বলেন উসামা।

সরাসরি যোগাযোগ বাড়ায় সম্পর্কে উন্নতি

সাধারণ ব্যবহারকারীদের ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্যই থাকে দৈনন্দিন জীবনের যোগাযোগকে সহজ করা। দীর্ঘদিনের অভ্যাসের পর ফেসবুক ছেড়ে দেওয়ায় পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগে ভাটা পড়েছে কি না জিজ্ঞেস করেছিলাম তাদেরকে।

উত্তরে মাহফুজ জানান, ফেসবুক ছেড়ে দেওয়ার পর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বেড়েছে তার। আগে যেখানে ফেসবুকের পোস্টের কমেন্টে বা ইনবক্সে টুকটাক কথা হত, সেখানে এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা সরাসরি আড্ডা দেওয়া হয় বেশি। যাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ নেই মোবাইল কলে তাদের খোঁজখবর নেন মাহফুজ। ফেসবুকে সময় নষ্ট না হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে বলে জানান তিনি।

ব্যক্তিগত কারণে প্রায় বছরখানেক আগে ফেসবুক ছেড়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সেঁজুতি সাহা। এর আগে অনেকটাই ফেসবুকে আসক্ত ছিলেন তিনি। এই সামাজিক মাধ্যম ছাড়ার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুবান্ধবদের সবার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ না থাকলেও তাতে সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান তিনি। সেঁজুতির ভাষ্যে, ‘সবার সঙ্গে তো প্রতিদিন যোগাযোগের দরকার নেই। যারা কাছের বন্ধু তারা অন্যান্য মাধ্যমে ঠিকই খোঁজ নেয় নিয়মিত। সরাসরি দেখাও করি কিছুদিন পরপর।’

আগের চেয়ে সুখী ভাবছেন নিজেদের

ফেসবুকে নিজের অজান্তেই প্রতিনিয়ত পরিচিত-অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজের অবস্থার তুলনা করতে থাকেন ব্যবহারকারীরা। ফলে শুরু হয় অস্বাস্থ্যকর এক প্রতিযোগিতার। এসব কারণে প্রায়ই মানসিক অশান্তিতে ভুগতে হয় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের।

ফেসবুক ছাড়ার পর থেকে এই তুলনা থেকে দূরে থাকায় মানসিক প্রশান্তি বেড়েছে বলে জানান সেঁজুতি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন ঘুম থেকে উঠেই অন্যের এচিভমেন্টে তালি দেওয়ার তাড়া নেই। প্রতিমুহূর্তে জীবনের প্রতিযোগিতা নিয়ে সচেতন থাকতে হচ্ছে না। অপ্রয়োজনীয় ইস্যু নিয়ে নেগেটিভিটি, কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি থেকেও একদম দূরে থাকছি।  ফেসবুকে থাকলে এসব নিয়ে নিজেকে প্রায়ই ছোট মনে হত। অযাচিত চাওয়া-পাওয়ার হাহাকার বাড়ত।’

জুলকার নাইন মাহফুজেরও একই অভিমত। অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে ভাবতে না হওয়ায় এখন অনেকটাই বেশি সুখী আছেন বলে জানান তিনি।

‘ফেসবুক ছাড়ার পর নিজের সবচেয়ে বড় অর্জন মানসিক প্রশান্তি,’ জানিয়েছেন আবু উসামা।

আবার ফিরে এলেও সীমিত রেখেছেন ব্যবহার

রূপালী ব্যাংকের শ্রীমঙ্গল চৌমোহনা শাখার সিনিয়র অফিসার পান্নাশ্রী চৌধুরী ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছর ছিলেন না ফেসবুকে। এর আগে বেশ কয়েকবছর নিয়মিতই অনেকটা সময় ব্যয় হত এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অতি যোগাযোগের প্রত্যাশা আর নিজের বাস্তবের পছন্দের জায়গা থেকে দূরে সরে যাওয়ায় ইচ্ছা করেই সরে গিয়েছিলেন ভার্চুয়াল এই জগত থেকে।

ফেসবুকে না থাকার সময়টায় নিজেকে সময় দেওয়া, প্রিয় শখ বাগান করা নিয়ে অবসর কাটাতে পছন্দ করতেন পান্নাশ্রী। তখন বাইরের জগতের অপ্রয়োজনীয় তথ্য জানতে হত না বলে মানসিক স্থিরতাও বেশি ছিল তার। সম্প্রতি পুরোনো বন্ধুদের খোঁজ নিতে ফেসবুকে একটিভ হলেও খুবই সীমিত সময় ব্যয় করছেন এখানে।

ব্যক্তিগতভাবে ফেসবুককে একটা ‘মুখোশ’ বলে মনে করেন তিনি। এই মুখোশের কাছাকাছি না থাকলে কোনো ক্ষতি নেই, বরং লাভ। পান্নাশ্রীর ভাষ্যে, ‘এখন আর ফেসবুক ব্যবহারের আগ্রহও পাই না তেমন। আগের মতো নেশাটাও নেই আর। হুট করেই হয়তো আবার একদিন বন্ধ করে দেব ফেসবুক।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের পথচলার শুরু থেকেই এর ব্যবহারকারী ছিলেন সাভার মডেল কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মাসুম সায়ীদ। কবিতা লেখা ও ছবি তোলার শখ তার আগে থেকেই। নিয়মিত নিজের তোলা ছবি ও নিজের কবিতা ফেসবুকে শেয়ার করতেন তিনি। সামাজিক এই যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে উঠছেন বুঝতে পেরে ২০১৫ সালের দিকে ফেসবুক ডিএক্টিভেট করে ফেলেন মাসুম। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময়ে অনলাইনে কলেজের ক্লাস পরিচালনার সুবিধার্থে আবার ফেসবুকে ফেরেন তিনি।

‘ফেসবুক বন্ধ রাখার সময়টায় আমি কাজের ফাঁকে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করতাম। নিজের পছন্দের সৃজনশীল কাজ করার সুযোগ পেতাম বেশি। তবে দূরে থাকায় কিছু কিছু বিষয় মিস করেও গেছি। অনেক কিছুই সময়মত জানতে পারিনি ফেসবুকে না থাকায়। তবে ফিরে আসার পর থেকে প্রয়োজনের বাইরে যতটা সম্ভব ফেসবুক ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকছি। বাস্তব জীবনে মনোযোগ দেওয়াটা বেশি জরুরী বুঝতে পারি এখন। মনোযোগ যেন বিঘ্নিত না হয় তাই মোবাইলে ফেসবুক অ্যাপও রাখিনি। ল্যাপটপ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য লগ ইন করি শুধু,’  বলেন মাসুম সায়ীদ।

‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাবকে অতি সাধারণীকরণের সুযোগ নেই’

ফেসবুক ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে কি না জানতে চেয়েছিলাম জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের শিশু-কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদের কাছে। তার মতে, ফেসবুকের যথেচ্ছ ব্যবহারে ব্যক্তিজীবনের উদ্বেগ, পারিবারিক অশান্তি, বিষণ্ণতার হার বাড়তে দেখা গেলেও সরাসরি একে দায়ী করার সুযোগ নেই। কারণ আদতে মানুষের হাতেই তার নিজের নিয়ন্ত্রণ। ব্যক্তি নিজে চাইলেই যেকোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার সীমিত রেখে এর ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনতে পারে।

ডা. হেলাল বলেন, ‘কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাবকেই অতি সাধারণীকরণের সুযোগ নেই। নির্দিষ্ট ব্যক্তি কোন মাধ্যমকে কীভাবে ব্যবহার করছে তার উপরই এর প্রভাব নির্ভর করছে। মানসিক শান্তির খোঁজে সবার পক্ষে ফেসবুক ছেড়ে দেওয়ার তো সুযোগ নেই। অনেকেই আছেন যারা এই মাধ্যমকে ব্যবহার করেই জীবিকা অর্জন করছেন। তাদের জন্য কিন্তু এর কোনো বিকল্প নেই। আবার অনেকেই ফেসবুকের প্রতি আসক্ত হয়ে নিজের দক্ষতা নষ্ট করেন, অন্যের প্রাপ্তি দেখে তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়, উদ্বিগ্নতার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ফেসবুক। তাদের জন্য এটা একটা অসুস্থতা। যারা এমন সমস্যায় ভুগছেন তাদের অবশ্যই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপযোগিতা ভোগ করতে হলে এর কার্যকরী, নিরাপদ ও যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’

Jubokantho24 Ad
এ জাতীয় আরো সংবাদ
এ জাতীয় আরো সংবাদ