আজ (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের মধুখালীতে এক মন্দিরের প্রতিমায় আগুন লাগানোকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র সন্দেহের বশে দুই মুসলিম শ্রমিককে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়।
এছাড়াও পাঁচজনকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ ফরিদপুরের তৌহদী জনতা ও সাধারণ মুসল্লীগণ মিছিল করলে সেখানে তৌহিদী জনতা ও মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের এই ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রতিবাদবার্তায় হেফাজত মহাসচিব আরো বলেন, ফরিদপুরে আজকের প্রতিবাদী মিছিলে মুসল্লিদের উপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। যাতে প্রায় অর্ধশতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লী আহত হয়। একজনের অবস্থা আশংকাজনক। পুলিশ কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পোশাককে বারবার কলুষিত করছে। পুলিশের এই আচরণ কোনো গণতান্ত্রিক দেশের চিত্র হতে পারে না। এমন কর্মকাণ্ডের কারণে পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।
মহাসচিব আরো বলেন, আমরা অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে মধুখালির দুই মুসলিম শ্রমিক হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে এবং আজকের এই ন্যাককারজনক ঘটনার জন্য দায়ী পুলিশদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা নিজেদের পবিত্র পোশাক ও দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। এছাড়া আজ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সহকারী অর্থ সম্পাদক মুফতী জাকির হুসাইন কাসেমীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মধুখালির নৃশংস এই ঘটনায় নিহত হওয়া দুই শ্রমিকের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে সহোযোগিতা ও সহানুভূতি জানান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, শামসুল উলূম ফরিদপুর মাদ্রাসার পরিচালক মুফতী কামরুজ্জামান, ইমাম কল্যান সমিতির সেক্রেটারি মাওলানা মোহাম্মদ ঈসমাইল, চর কমলাপুর মাদ্রাসার শাইখুল হাদীস মুফতী আব্দুল কাইয়ূম, হেফাজত নেতা মাওলানা আমজাদ হোসাইন, হেফাজত নেতা মুফতী আবূ সাঈদ, মাওলানা কবীর আহমাদ, মাওলানা ইলিয়াস হুসাইন, হাফেজ আসাদুজ্জামান, মাওলানা মুহিউদ্দিন, মাওলানা রবিউল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা আসাদুজ্জামান, মুফতী মাহমুদুল হাসানসহ স্হানীয় উলামায়ে কেরাম।