
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নির্বাচন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে প্রার্থী মনোনয়ন, যাচাই-বাছাই ও চূড়ান্তকরণ প্রক্রিয়া এবং ভোটের প্রস্তুতির ধাপসমূহ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আদালত।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির।
এর আগে ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদের ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। এবার ডাকসুর ২৮টি পদে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী রয়েছেন ৬২ জন।
প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে আরও ২৮ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে চূড়ান্তভাবে ৪৭১ জন প্রার্থীকে তালিকাভুক্ত করে নির্বাচন কমিশন।
বিভিন্ন পদে প্রার্থীর সংখ্যা নিম্নরূপ—
সহসভাপতি (ভিপি): ৪৫ জন
সাধারণ সম্পাদক (জিএস): ১৯ জন
সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস): ২৫ জন
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক: ১৭ জন
কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক: ১১ জন
আন্তর্জাতিক সম্পাদক: ১৪ জন
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: ১৯ জন
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: ১২ জন
গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক: ৯ জন
ক্রীড়া সম্পাদক: ১৩ জন
ছাত্র পরিবহন সম্পাদক: ১২ জন
সমাজসেবা সম্পাদক: ১৭ জন
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক: ১৫ জন
মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক: ১১ জন
ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক: ১৫ জন
এছাড়া সদস্যপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২১৭ জন প্রার্থী।