ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারকে ভারতের কলকাতায় হত্যার পর মাংস-হাড্ডি আলাদা করে হলুদের গুঁড়া মেশানো হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার।
এমপির লাশ উদ্ধারের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের যে মূল সংগঠক আছেন, তিনি আমাদের যেভাবে বিবৃতি দিয়েছেন, বর্ণনা করেছেন—সে বর্ণনা অনুযায়ী লাশটি পাওয়ার কথা না। কারণ তারা বিভিন্নভাবে লাশকে খণ্ডিত করে শরীর থেকে মাংস, হাড্ডি আলাদা করে সেখানে তারা হলুদের গুঁড়া মিশিয়েছে। তারপরও ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। হয়তো কোথাও না কোথাও তাদের অবশ্যই তদন্ত কাজ চলছে এবং এটি অবশ্যই উদ্ধার হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উদ্ধার করার জন্য এই হত্যাকাণ্ডে যে এটা ক্যারিং হিসেবে কাজ করেছেন (গাড়িচালক), সে কিন্তু এখন ভারতীয় পুলিশের হাতে আছে। আমি মনে করি, পুরোপুরি না পাওয়া গেলেও অংশবিশেষ অবশ্যই পাওয়া যাবে। আপনারা একটু ধৈর্য ধরেন, ভারতীয় পুলিশ কাজ করছে, আমরাও কাজ করছি।’
উল্লেখ্য, গত ১২ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। এরপর তার পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। ভারতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগর থানার ১৭/৩ মণ্ডল পাড়া লেনের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন আনার। গোপাল বিশ্বাস তার দীর্ঘ দিনের পরিচিত। মূলত চিকিৎসক দেখাতে দেখানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান আনার। পরের দিন ১৩ মে দুপুরে চিকিৎসক দেখানোর জন্য বের হন এই এমপি। সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। পরে ১৮ মে বরাহনগর থানায় নিখোঁজের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোপাল বিশ্বাস।
গতকাল বুধবার পশ্চিমবঙ্গের বিধাননগরের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেন থেকে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাট থেকে রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ। এই ফ্ল্যাটেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা তাদের।