JuboKantho24 Logo

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে গ্রামের অভিভাবকরা খুশি: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বাস্তবমুখী হওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে গ্রামের অভিভাবকরা খুশি। তবে শহরের অল্পসংখ্যক অভিভাবক এ নিয়ে শুরু থেকে আপত্তি জানিয়ে আসছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ’ উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পুরস্কার বিতরণের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ প্রমুখ।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও তাদের চাওয়াটাকে যদি আমরা প্রত্যাখ্যান করি, শিক্ষাকে যদি অভিজাত মানসিকতা সৃষ্টির একটা প্রক্রিয়া হিসেবে দেখি, তাহলে সেটা সমাজ ও রাষ্ট্রে ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। সমাজের সবার লক্ষ্য যদি হয় গাড়ি-ঘোড়ায় চড়া, তাহলে গাড়ি তৈরি করবে কে? শুধু অভিজাত বা উচ্চ প্রশাসনিক পদ দিয়ে সমাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করা সম্ভব নয়। এজন্যই শিক্ষায় আমরা রূপান্তরের পথে হাঁটছি।

শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের লক্ষ্যে শিক্ষাক্রমের রূপান্তর করা হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তত্ত্বীয় জ্ঞানের প্রায়োগিক দিকটা শেখালে শিক্ষা আনন্দময় হয়ে ওঠে। এজন্য শিক্ষাক্রম রূপান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষকদেরও সেভাবে প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক পরিবর্তন এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান আমরা নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বিশেষায়িত জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করছি। অথচ আমাদের প্রয়োজন উচ্চশিক্ষায় বিশেষায়িত জ্ঞান দেওয়া। কিন্তু উচ্চশিক্ষায় আমরা গতানুগতিক শিক্ষা দিচ্ছি। এটা থেকেও আমরা বেরিয়ে আসতে চাই।

Jubokantho24 Ad
এ জাতীয় আরো সংবাদ
এ জাতীয় আরো সংবাদ