ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, সলিমুল্লাহর দেয়া জায়গায় গড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নামাজ পড়তে আপত্তি, ইফতার করতে আপত্তি কিন্তু মঙ্গল শোভাযাত্রা পূজা করতে আপত্তি হয় না।
আমাদের দাবি ছিলো প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া। সেটাতে করাই হয় নাই উল্টো ৫১৬৬ জন গানের শিক্ষক দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান, মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
আমাদের দাবি ছিলো প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া। সেটাতে করাই হয় নাই উল্টো ৫১৬৬ জন গানের শিক্ষক দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান, মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
শুক্রবার (১০ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন: আমাদের করণীয়’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে একথা বলেন চরমোনাই পীর।
তিনি বলেন, একটি জাতিকে পরিবর্তনের জন্য দুইটি জিনিস প্রয়োজন। একটি শিক্ষা এবং আরেকটি সংস্কৃতি। আজ শিক্ষাঙ্গনে কী চলছে? আনন্দবাজার পত্রিকায় যে ছবি ছাপা হয় সেই ছবি দিয়ে আমাদের পাঠ্যবইয়ে শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। আগে বাবার মাথায় টুপি ছিল, মায়ের মাথায় কাপড় ছিল। সেখানে সেই বাবার মাথার টুপি মায়ের মাথার কাপড় সরানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নবম-দশম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা বইয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কৃষি সম্পর্কে জ্ঞান দেয়া হতো। কিন্তু সেটা বাদ দেয়া হয়েছে। এখন নিয়ে আসা হয়েছে শিল্প সংস্কৃতি। শিল্প সংস্কৃতিতে তবলা, ঢোল, হারমোনিয়াম নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে একটা বাচ্চা কীভাবে মেয়েদের সঙ্গে হাত ধরতে নাচবে, গায়ে হলুদে কীভাবে ‘ড্যান্স’ দিবে, তা প্র্যাক্টিকালি দেখাতে বলা হচ্ছে।
মায়ের চুমু খাবে, বন্ধুর সঙ্গে চুমু খাওয়া যাবে না কিন্তু হাত ধরে হাঁটতে আপত্তি নেই— এসব শিক্ষা দেয়া হচ্ছে বর্তমান শিক্ষা কার্যক্রমে,
যোগ করেন তিনি।
মিডিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো কিছু ঘটলেই জঙ্গি কোথায়, মাদ্রাসায় কি হলো! কে কোথায় বলৎকার করলো তা নিয়ে মিডিয়া তোলপাড় করে। কিন্তু ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে বইয়ে লেখা হলো, সেখানে মিডিয়া নিশ্চুপ।
চরমোনাই পীর বলেন, এদেশে যার যা ইচ্ছা, সে তাই করছে। বাংলাদেশের মাথার উপর বিমান যায়, টাকা পায় ভারত। শরীফ-শরীফার মধ্যে কী ভুল আছে সেই কমিটিতে কিছু হুজুরকেও রাখা হয়েছে। এই মৌলভীরা লোভের কারণে এই শরীফ-শরীফার মধ্যে কোনো ভুল দেখে না।
আমাদের দাবি ছিল প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া। সেটাতো করা হয়নি উল্টো ৫ হাজার ১৬৬ জন গানের শিক্ষক দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে প্রাইমারিতে, বলেন তিনি।
তিনি বলেন,
মা দুর্গার পোস্ট করতে আপত্তি নেই, শ্রীরাম বলতে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু মুসলমানরা ইসলামের কথা বললে সাম্প্রদায়িক বানিয়ে দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে রব্বী জিদনি ইলমা উঠিয়ে নেয়া হচ্ছে। সলিমুল্লাহর দেয়া জায়গায় গড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নামাজ পড়তে আপত্তি, ইফতার করতে আপত্তি কিন্তু শোভাযাত্রা কিংবা পূজা করতে আপত্তি হয় না।
তিনি আরও বলেন, যারা শরীফ-শরীফার মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পায় না, তাদের টুপি খুলে ফেলতে হবে, তাদের জুব্বা খুলে ফেলতে হবে। তারা আবুল ফজর ফয়েজির গোষ্ঠী। জনগণ যখন ইসলামের পক্ষে কথা বলবে তখন শাসক গোষ্ঠী ইসলামের পক্ষে কথা না বলে পারে না। ভারতে হিন্দুত্ববাদ আছে, জাতীয়তাবাদ আছে। আমাদের মধ্যে কোনো জাতীয়তাবাদ নাই, ধর্মীয় বাদ নাই।