
নিজস্ব প্রতিবেদক;
গাজীপুরের আশামনি ধর্ষণ, গাজীপুরে খতিব মাও. মুহিব্বুল্লাহ গুমের পর নির্যাতন, বুয়েটের আত্মস্বীকৃত ধর্ষক শ্রীশান্ত রায়সহ সকল খুনি ধর্ষকদের দ্রুত বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে
বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদ। এ সময় ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধের দাবি জানান আলেমরা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) জুমার পর উত্তরা বাইতুল হুদা জামে মসজিদের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে উত্তরার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিলের নেতৃত্ব দেন বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের সেক্রেটারি মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিন।
এ সময় ‘জঙ্গি জঙ্গি, ইসকন জঙ্গি’, ‘এক দুই তিন চার, ইসকন তুই দেশ ছাড়’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার সোনার বাংলায়, উগ্রবাদের ঠাঁই নাই’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় বক্তারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে হিন্দু-মুসলমানসহ সকল ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে আন্দোলন করেছিলেন ছাত্র-জনতা। কিন্তু পতিত সরকারের দোসর ও দিল্লির ষড়যন্ত্রে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর ষড়যন্ত্র চলছে। সেই উদ্দেশ্যেই একেরপর এক ষড়যন্ত্র তারা করছে বলেও মন্তব্য করা হয়।
আন্দোলনকারীরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুম ও ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেফতার, ইসকন নিষিদ্ধ করা, ইসকনের অর্থের উৎস অনুসন্ধান ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, ইসকন একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাসী এ সংগঠনটির লক্ষ্যই হলো দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা। বিগত ১৬ বছর ধরে তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারে ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছে। এখন দেশকে তারা হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আমরা অবিলম্বে এ সংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবি জানাই। সেইসাথে আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা ফজলুল হক সিদ্দিকী, মুফতি আল আমিন সিরাজী, মুফতি সুলাইমান সাদ প্রমুখ।




