
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীরে মজলিস আল্লামা মুহাম্মাদ মা’মু-নুল হক বলেছেন,
বাহাত্তরের বাকশালপন্থীরা আগামী ১৩ নভেম্বর লকডাউনের নামে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—১৩ নভেম্বর বাংলার রাজপথে কোনো বাকশালপন্থীকে নামতে দেওয়া হবে না। কেউ নামার অপচেষ্টা চালালে, তাকে আমরা রাজপথেই মোকাবেলা করব।
তিনি আজ (১১ নভেম্বর) মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে আয়োজিত আটদলীয় বিশাল সমাবেশে অন্যতম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
মাওলানা মা-মু-নুল হক বলেন, বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত — এক ভাগ বাহাত্তরের বাকশালপন্থী, আরেক ভাগ চব্বিশের বিপ্লবপন্থী। প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও পক্ষের প্রতি আমার সুস্পষ্ট প্রশ্ন—আপনারা আপনাদের অবস্থান পরিষ্কার করুন। আপনি কি জুলাই বিপ্লবের পক্ষপাতী, না বাহাত্তরের বাকশালপন্থী?
তিনি আরও বলেন, চব্বিশের জুলাই বিপ্লব সহস্রাধিক শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত একটি বিপ্লব। এই বিপ্লবের ভিত্তিতেই আগামীর বাংলাদেশ পরিচালিত হওয়ার জন্য সকল দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ প্রণীত হয়েছে। এই সনদকে আমরা কোনো কাগুজে দলিল হিসেবে দেখতে চাই না; বরং এটি হবে আগামীর বাংলাদেশের রূপরেখা।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, আট দলের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্ট জানিয়েছি—অনতিবিলম্বে জুলাই সনদকে সরকারি আদেশের মাধ্যমে আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে। এরপর আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে চূড়ান্ত আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে। এর বিপরীত কোনো পদক্ষেপ জুলাই বিপ্লবপন্থীরা বরদাশত করবে না।
লাখো জনতার উত্তাল সমাবেশ হাত উঁচিয়ে মাওলানা মামুনুল হকের বক্তব্যে সমর্থন জানান।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।
অন্যান্যদের সঙ্গে সমাবেশ পরিচালনায় ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণসহ বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগ দেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম (পীর সাহেব চরমোনাই)সহ আন্দোলনরত আট দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।




