সিরিয়ার কারাগারে হাজার হাজার বন্দিকে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। স্বজনদের সন্ধানে কারাগারগুলোতে ছুটে যাচ্ছেন সিরীয়রা। কেউ কেউ জীবিত মুক্তি পেয়েছেন, কেউ মৃত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, আর বহু বন্দি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
এরইমধ্যে সিরিয়ার কারাগারে কয়েক মাস ধরে বন্দি থাকা এক মার্কিন নাগরিক মুক্তি পেয়েছেন। দেশটিতে বিদ্রোহীরা বাশার আল-আসাদ সরকারকে উৎখাত করার পর মুক্তি পান তিনি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিরিয়া যাওয়ার পর প্রায় ৭ মাস আগে তাকে বাশার আল-আসাদ সরকার গ্রেপ্তার করেছিল।
সিবিএসকে ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তার নাম ট্র্যাভিস টিমারম্যান। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে তাকে স্থানীয় বাসিন্দারা খুঁজে পান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওই আমেরিকান নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সিরিয়ার রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে জর্ডানে এক বৈঠক শেষে এটি নিশ্চিত করেন তিনি।
আকাবায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে ব্লিঙ্কেন বলেন, আমেরিকান নাগরিক যাকে আজই পাওয়া গেছে, আমি আপনাকে ঠিক কী ঘটতে চলেছে সে সম্পর্কে কোনও বিশদ বিবরণ দিতে পারছি না, তবে আমরা সিরিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছি।
ব্লিঙ্কেন বলেন, গোপনীয়তার কারণে আমি এই সম্পর্কে আর কোনো বিবরণ শেয়ার করতে পারছি না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, টিমারম্যান একটি সোফায় শুয়ে আছেন। আর সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। টিমারম্যান বলেন, সাত মাস আগে সিরিয়ায় প্রবেশের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই মার্কিন নাগরিককে গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে নিখোঁজ হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। এর আগে তাঁকে সবশেষ দেখা গিয়েছিল হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে। মিসৌরি স্টেট হাইওয়ে পেট্রল এবং হাঙ্গেরির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে গত বুধবার সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনীর প্রধান আহমাদ আল-শারা ওরফে আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি আসাদ আমলের নিরাপত্তা বাহিনী বিলুপ্ত ও কারাগার বন্ধ করবেন এবং নির্যাতন ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনবেন।