রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর ‘শাপলা চত্বরে কোনো গণহত্যা হয়নি’— এই মিথ্যাচারমূলক বক্তব্যে গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদ

বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদের বিবৃতি
তারিখ: ২২ অক্টোবর ২০২৫

রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর ‘শাপলা চত্বরে কোনো গণহত্যা হয়নি’— এই মিথ্যাচারমূলক বক্তব্যে গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদ।

এক বিবৃতিতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন— ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নির্মম হামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। সেই সত্যকে অস্বীকার করে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মোহাম্মাদ আমির হোসেনের বক্তব্য— “শাপলা চত্বরে গণহত্যা হয়নি, হয়ে থাকলেও শেখ হাসিনা জানতেন না”—জাতির সঙ্গে এক নির্মম প্রহসন এবং শহীদদের আত্মত্যাগের অবমাননা।

পরিষদ বলেছে— শাপলা চত্বরের সেই রাতে শত শত আলেম, ছাত্র ও সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম, মানবাধিকার সংস্থা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যে বারবার প্রমাণিত। মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’-এর প্রতিবেদনে অন্তত ৬১ জনের মৃত্যুর তথ্য উল্লেখ রয়েছে। এই ভয়াবহ সত্য অস্বীকার করা মানে ইতিহাসকে বিকৃত করা এবং শহীদদের রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা।

বৃহত্তর উত্তরা উলামা পরিষদ স্পষ্টভাবে বলছে—
১. শাপলা চত্বরের হত্যাযজ্ঞ ছিল পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।
২. এই ঘটনায় নিহতদের জন্য এখনো কোনো স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার হয়নি।
৩. রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর দায়িত্ব সত্যকে আড়াল করা নয়, বরং সত্য উন্মোচনে সহায়তা করা।

পরিষদের দাবি:
১. শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক মানের স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
২. নিহতদের শহীদ ঘোষণা দিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।
৩. রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মোহাম্মাদ আমির হোসেনকে অবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

পরিষদের আহ্বান:
ইতিহাস বিকৃতির এই অপচেষ্টা রুখে দিতে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হোন। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করুন।

সভাপতি: মুফতি কামালুদ্দীন
সেক্রেটারি: মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিন

Jubokantho24 Ad
এ জাতীয় আরো সংবাদ
এ জাতীয় আরো সংবাদ