JuboKantho24 Logo

পারস্য উপসাগরে চীনা নজরদারি জাহাজের রহস্যময় উপস্থিতি

উপসাগরে চীনা নজরদারি জাহাজের রহস্যময় উপস্থিতি

পারস্য উপসাগরের শান্ত জলে এবার দেখা মিলেছে দুই চীনা ইলেকট্রনিক গোয়েন্দা জাহাজের—৮৫৫ এবং ৮১৫এ—যা নতুন করে উত্তেজনার বার্তা দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে।

এই জাহাজ দুটি সাধারণ নৌযান নয়। এগুলো চীনের উন্নত প্রযুক্তি-নির্ভর ইলেকট্রনিক নজরদারি জাহাজ, যা নিঃশব্দে বাতাসে ছড়ানো কথোপকথন ধরে, সিগন্যাল বিশ্লেষণ করে এবং শত্রুর গতিবিধি মনিটর করে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই জাহাজগুলো ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং তাদের মিত্রদের যোগাযোগে বাধা সৃষ্টি করতে সক্ষম, যা ইরানকে আরও কৌশলগত সুবিধা এনে দিতে পারে।

চীনের পরোক্ষ বার্তা:

এই দুই নজরদারি জাহাজের উপস্থিতি শুধু তথ্য সংগ্রহের জন্য নয়, বরং এটি একটি রাজনৈতিক বার্তা। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে চীন যে ইরানের পাশে আরও দৃশ্যমানভাবে অবস্থান নেবে, তারই ইঙ্গিত এই পদক্ষেপ।

ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষণ:

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা চলমান। ইরান বারবার হুমকি দিচ্ছে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার প্রতিশোধের।

মধ্যপ্রাচ্যে চীনের এই সরাসরি হস্তক্ষেপ নজিরবিহীন।

রাশিয়া-চীন-ইরান এক অক্ষরেখায় যুক্ত হচ্ছে, যা আমেরিকা ও ইসরায়েলের জন্য অশনিসংকেত।

কৌশলগত প্রভাব:

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের এই পদক্ষেপ ইরানকে প্রযুক্তিগতভাবে আরও শক্তিশালী করবে। তথ্য সংগ্রহে সহায়তা করার পাশাপাশি, এটি ইসরায়েলি অভিযানের গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ করতে পারে।

শেষ কথা:
পারস্য উপসাগরের নীরব এই যুদ্ধ আরও বড় কোনো সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে? চীন কি কেবল পর্যবেক্ষক, নাকি এটি আগাম প্রস্তুতির অংশ? উত্তর সময়ই দেবে। তবে এখনই বোঝা যাচ্ছে, ইরান একা নয়, আর যুদ্ধ শুধু মিসাইল বা ড্রোনের নয়—তথ্যই এখন সবচেয়ে বড় অস্ত্র।

নিউজ ডেস্ক
১৯ জুন ২০২৫

 

 

Jubokantho24 Ad
এ জাতীয় আরো সংবাদ
এ জাতীয় আরো সংবাদ